চলে গেলেন বীরপ্রতীক মাহবুবুর রব সাদী
না ফেরার দেশে চলে গেলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, রাজনীতিক বীর মুক্তিযোদ্ধ মাহবুবুর রব সাদী বীরপ্রতীক।
রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)।
তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। জাসদের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা সাদী ১৯৭৯ সালে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে চার নম্বর সেক্টরের জামালপুর সাব-সেক্টরের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ব্যাপক জনপ্রিয় এ নেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। সাহসী ও প্রচারবিমুখ এ রাজনীতিক ও মুক্তিযোদ্ধা শেষ জীবনে দূরে ছিলেন প্রচারের আলো থেকে। ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকার সুযোগ পেয়েও তা বারবার প্রত্যাখ্যান করেছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সাহস আর সততাকে পুঁজি করেই পথ চলেছেন জীবনভর। নীতির প্রশ্নে আপস করেননি কখনও। বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধাদের অবমূল্যায়নের প্রতিবাদে তিনি নিজের বীর প্রতীক খেতাবও গ্রহণ করেননি জীবদ্দশায়। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
সোমবার নবীগঞ্জে দুই দফা জানাজা শেষে মরহুমের লাশ ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
শারীরিক সমস্যা নিয়ে তিন দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মাহবুবুর রব সাদী। রবিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার হার্ট অ্যাটাক হয়। এরপর চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে নেয়ার পরামর্শ দেন। মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রব সাদীর মুত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে নবীগঞ্জ-বাহুবলে। এই এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য সাদী ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন সাধারণ মানুষের কাছে। তিনি ১৯৪৫ সালের ১০ই মে উপজেলার বনগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ